ঢাকা ০১:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

অর্থপাচার মামলায় এনামুল-রূপন ৪ দিনের রিমান্ডে

আলোর জগত ডেস্কঃ  অর্থপাচার আইনে দায়ের করা মামলায় ক্যাসিনোকাণ্ডের হোতা দুই ভাই গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক ও সাধারণ সম্পাদক রূপন ভূঁইয়াকে চার দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের সহযোগী মোস্তফাকে পাঠানো হয়েছে তিন দিনের রিমান্ডে।আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী তিন জনের এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আরো পড়ুন: দিনাজপুরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ২

গত সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে তাদের ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়। কেরানীগঞ্জে মোস্তফার বাড়িতে থেকে সেখান থেকে বেনামি পাসপোর্ট তৈরি করে ভারত হয়ে নেপাল যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন এনামুল ও রূপন।

গত বছর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর এই দুই ভাই আলোচনায় আসেন। শুরু থেকেই তারা পলাতক ছিলেন।

গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর এনামুল ও রূপনদের বাসায় এবং তাঁদের দুই কর্মচারীর বাসায় অভিযান চালায় র‍্যাব। সেখান থেকে পাঁচ কোটি টাকা এবং সাড়ে সাত কেজি সোনা উদ্ধার করা হয়। এরপর সূত্রাপুর ও গেন্ডারিয়া থানায় তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়। একাধিক বার অভিযান চালিয়েও এত দিন তাদের ধরা যায়নি।

এনামুল ও রূপন গত ৬-৭ বছরে পুরান ঢাকায় বাড়ি কিনেছেন কমপক্ষে ১২টি। ফ্ল্যাট কিনেছেন ৬টি। পুরোনো বাড়িসহ কেনা জমিতে গড়ে তুলেছেন নতুন নতুন ইমারত। স্থানীয় লোকজন জানান, এই দুই ভাইয়ের মূল পেশা জুয়া। আর নেশা হলো বাড়ি কেনা।

জুয়ার টাকায় এনামুল ও রূপন কেবল বাড়ি ও ফ্ল্যাটই কেনেননি, ক্ষমতাসীন দলের পদও কেনেন বলে জানা যায়।

স্থানীয় লোকজন জানান, ২০১৮ সালে এনামুল পান গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতির পদ। আর রূপন পান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ। তাঁদের পরিবারের ৫ সদস্য, ঘনিষ্ঠজনসহ মোট ১৭ জন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগে পদ পান। তারা সরকারি দলের এসব পদ-পদবি জুয়া ও ক্যাসিনো কারবার নির্বিঘ্নে চালানোর ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে আসছিলেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

অর্থপাচার মামলায় এনামুল-রূপন ৪ দিনের রিমান্ডে

আপডেট টাইম : ১১:২২:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২০

আলোর জগত ডেস্কঃ  অর্থপাচার আইনে দায়ের করা মামলায় ক্যাসিনোকাণ্ডের হোতা দুই ভাই গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক ও সাধারণ সম্পাদক রূপন ভূঁইয়াকে চার দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের সহযোগী মোস্তফাকে পাঠানো হয়েছে তিন দিনের রিমান্ডে।আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী তিন জনের এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আরো পড়ুন: দিনাজপুরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ২

গত সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে তাদের ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়। কেরানীগঞ্জে মোস্তফার বাড়িতে থেকে সেখান থেকে বেনামি পাসপোর্ট তৈরি করে ভারত হয়ে নেপাল যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন এনামুল ও রূপন।

গত বছর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর এই দুই ভাই আলোচনায় আসেন। শুরু থেকেই তারা পলাতক ছিলেন।

গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর এনামুল ও রূপনদের বাসায় এবং তাঁদের দুই কর্মচারীর বাসায় অভিযান চালায় র‍্যাব। সেখান থেকে পাঁচ কোটি টাকা এবং সাড়ে সাত কেজি সোনা উদ্ধার করা হয়। এরপর সূত্রাপুর ও গেন্ডারিয়া থানায় তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়। একাধিক বার অভিযান চালিয়েও এত দিন তাদের ধরা যায়নি।

এনামুল ও রূপন গত ৬-৭ বছরে পুরান ঢাকায় বাড়ি কিনেছেন কমপক্ষে ১২টি। ফ্ল্যাট কিনেছেন ৬টি। পুরোনো বাড়িসহ কেনা জমিতে গড়ে তুলেছেন নতুন নতুন ইমারত। স্থানীয় লোকজন জানান, এই দুই ভাইয়ের মূল পেশা জুয়া। আর নেশা হলো বাড়ি কেনা।

জুয়ার টাকায় এনামুল ও রূপন কেবল বাড়ি ও ফ্ল্যাটই কেনেননি, ক্ষমতাসীন দলের পদও কেনেন বলে জানা যায়।

স্থানীয় লোকজন জানান, ২০১৮ সালে এনামুল পান গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতির পদ। আর রূপন পান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ। তাঁদের পরিবারের ৫ সদস্য, ঘনিষ্ঠজনসহ মোট ১৭ জন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগে পদ পান। তারা সরকারি দলের এসব পদ-পদবি জুয়া ও ক্যাসিনো কারবার নির্বিঘ্নে চালানোর ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে আসছিলেন।