ঢাকা ০৭:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

সোমালিয়ায় গাড়ি বোমা হামলায় নিহত ৬১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :  আফ্রিকার দেশ সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসুতে এক ভয়াবহ গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ৬১ জন নিহত হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হামলায় আহত হয়েছেন অনেকে। তাদেরকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আরো পড়ুন:  উত্তরে তাবিথ, দক্ষিণে ইশরাক বিএনপির মেয়র প্রার্থী

গতকাল শনিবার সকালে ব্যস্ত সময়ে একটি কর সংগ্রহ কেন্দ্র লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়। তবে এখন পর্যন্ত কোনও গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।

পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ হুসেন বলেন, বিস্ফোরণটি ছিল ভয়াবহ। ২০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করতে পারি। আরও অনেকে আহত রয়েছে। হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।

দেশটির অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নিহতের সংখ্যা ৬১ জন ছাড়িয়েছে। এছাড়া আরও ৫১ জন আহত হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী আহমেদ মোয়ালিম ওয়ারসেম বলেন, ‘আমি ২২টি মরদেহ গুনেছি। তাদের সবাই বেসামরিক নাগরিক। ৩০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে। এটা একটা কালোদিন’।

বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলে মোগাদিসুর মেয়র ওমর মোহাম্মদ সাংবাদিকদের বলেছেন, বিস্ফোরণে অন্তত ৯০ জন আহত হয়েছে বলে সরকার নিশ্চিত করছে। এদের বেশিরভাগই শিক্ষার্থী।

১৯৯১ সালে সেনা শাসনের অবসান হওয়ার পর থেকে সোমালিয়াতে সহিংসতা ও অস্থিতিশীলতা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। প্রেসিডেন্ট মোহামেদ সিয়াদ বারে ক্ষমতাচ্যুত হলে দেশের যুদ্ধবাজ গোত্রপতিরা হানহানিতে জড়িয়ে পড়লে সোমালিয়া কার্যত একটি যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়। ২০১২ সালে দেশটিতে জাতিসংঘ সমর্থিত সরকার দায়িত্ব নেয়। এরপর থেকে আল শাবাব জঙ্গি গোষ্ঠীকে বাধাগ্রস্ত করা সম্ভব হলেও সোমালিয়ার গ্রামীণ এলাকায় তারা এখনও তৎপর।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

মির্জাগঞ্জে রাতের আধারে বসতঘর লুটপাট

সোমালিয়ায় গাড়ি বোমা হামলায় নিহত ৬১

আপডেট টাইম : ০৪:০২:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :  আফ্রিকার দেশ সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসুতে এক ভয়াবহ গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ৬১ জন নিহত হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হামলায় আহত হয়েছেন অনেকে। তাদেরকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আরো পড়ুন:  উত্তরে তাবিথ, দক্ষিণে ইশরাক বিএনপির মেয়র প্রার্থী

গতকাল শনিবার সকালে ব্যস্ত সময়ে একটি কর সংগ্রহ কেন্দ্র লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়। তবে এখন পর্যন্ত কোনও গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।

পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ হুসেন বলেন, বিস্ফোরণটি ছিল ভয়াবহ। ২০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করতে পারি। আরও অনেকে আহত রয়েছে। হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।

দেশটির অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নিহতের সংখ্যা ৬১ জন ছাড়িয়েছে। এছাড়া আরও ৫১ জন আহত হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী আহমেদ মোয়ালিম ওয়ারসেম বলেন, ‘আমি ২২টি মরদেহ গুনেছি। তাদের সবাই বেসামরিক নাগরিক। ৩০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে। এটা একটা কালোদিন’।

বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলে মোগাদিসুর মেয়র ওমর মোহাম্মদ সাংবাদিকদের বলেছেন, বিস্ফোরণে অন্তত ৯০ জন আহত হয়েছে বলে সরকার নিশ্চিত করছে। এদের বেশিরভাগই শিক্ষার্থী।

১৯৯১ সালে সেনা শাসনের অবসান হওয়ার পর থেকে সোমালিয়াতে সহিংসতা ও অস্থিতিশীলতা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। প্রেসিডেন্ট মোহামেদ সিয়াদ বারে ক্ষমতাচ্যুত হলে দেশের যুদ্ধবাজ গোত্রপতিরা হানহানিতে জড়িয়ে পড়লে সোমালিয়া কার্যত একটি যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়। ২০১২ সালে দেশটিতে জাতিসংঘ সমর্থিত সরকার দায়িত্ব নেয়। এরপর থেকে আল শাবাব জঙ্গি গোষ্ঠীকে বাধাগ্রস্ত করা সম্ভব হলেও সোমালিয়ার গ্রামীণ এলাকায় তারা এখনও তৎপর।