ঢাকা ১২:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম :

টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৩ রোহিঙ্গা নিহত

আলোর জগত ডেস্কঃ  কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মাদক কারবারী ও শিশু অপহরণকারী চক্রের ৩ সদস্য নিহত হয়েছেন। তারা তিনজনই রোহিঙ্গা বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।

বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে টেকনাফ উপজেলার লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ের কাছে এই ঘটনা ঘটে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ৩টি এলজি, ৮টি গুলি ও ১১টি গুলির খালি খোসা উদ্ধার করা হয়।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে টেকনাফ উপজেলার লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ের কাছে পুলিশ অভিযানে গেলে অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে।

এতে পুলিশের কনস্টেবল সেকান্দর, এরশাদুল ও সৈকত বড়ুয়া আহত হন। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলিবর্ষণ করলে কিছুক্ষণ পর দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল তল্লাশি করে লেদা রোহিঙ্গা বস্তিতে গুলিবিদ্ধ ও মুমূর্ষ অবস্থায় উখিয়া উপজেলার থাইংখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-২ ব্লকের মোক্তার আহমদের পুত্র নুর আলম (২১), সি-১ ব্লকের নুর মোহাম্মদের পুত্র শামসুল আলম (৩৫) এবং লেদা রোহিঙ্গা বস্তির আজিজুর রহমানের পুত্র হাবিবকে (২০) হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আনা হয়।

তারা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। এ ছাড়া আহত পুলিশের ৩ জন কনস্টেবল সেকান্দর, এরশাদুল ও সৈকত বড়ুয়াকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। শুক্রবার সকালে মৃতদেহগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের অফিসার্স ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শুক্রবার সকালে মৃতদেহগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

‘বন্দুকযুদ্ধের’ পর ঘটনাস্থল থেকে ৩টি এলজি, ৮টি গুলি ও ১১টি গুলির খালি খোসা উদ্ধার করা হয়। এই ব্যাপারে তদন্ত স্বাপেক্ষে সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে চিকিৎসার চেক হস্তান্ত, সাবেক এম পি নুরুল আমিন রুহুল

টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৩ রোহিঙ্গা নিহত

আপডেট টাইম : ০৫:০২:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুন ২০১৯

আলোর জগত ডেস্কঃ  কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মাদক কারবারী ও শিশু অপহরণকারী চক্রের ৩ সদস্য নিহত হয়েছেন। তারা তিনজনই রোহিঙ্গা বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।

বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে টেকনাফ উপজেলার লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ের কাছে এই ঘটনা ঘটে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ৩টি এলজি, ৮টি গুলি ও ১১টি গুলির খালি খোসা উদ্ধার করা হয়।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে টেকনাফ উপজেলার লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ের কাছে পুলিশ অভিযানে গেলে অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে।

এতে পুলিশের কনস্টেবল সেকান্দর, এরশাদুল ও সৈকত বড়ুয়া আহত হন। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলিবর্ষণ করলে কিছুক্ষণ পর দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল তল্লাশি করে লেদা রোহিঙ্গা বস্তিতে গুলিবিদ্ধ ও মুমূর্ষ অবস্থায় উখিয়া উপজেলার থাইংখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-২ ব্লকের মোক্তার আহমদের পুত্র নুর আলম (২১), সি-১ ব্লকের নুর মোহাম্মদের পুত্র শামসুল আলম (৩৫) এবং লেদা রোহিঙ্গা বস্তির আজিজুর রহমানের পুত্র হাবিবকে (২০) হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আনা হয়।

তারা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। এ ছাড়া আহত পুলিশের ৩ জন কনস্টেবল সেকান্দর, এরশাদুল ও সৈকত বড়ুয়াকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। শুক্রবার সকালে মৃতদেহগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের অফিসার্স ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শুক্রবার সকালে মৃতদেহগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

‘বন্দুকযুদ্ধের’ পর ঘটনাস্থল থেকে ৩টি এলজি, ৮টি গুলি ও ১১টি গুলির খালি খোসা উদ্ধার করা হয়। এই ব্যাপারে তদন্ত স্বাপেক্ষে সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।