ঢাকা ১১:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম :
Logo অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo ফরিদপুর জেলার মধুখালিতে “শ্যালিকার সঙ্গে পরকীয়ার জেরে দুলাভাইকে হত্যা” শীর্ষক চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার পলাতক আসামি শরিফুল শেখ ও তথি বেগম’কে ফরিদপুরের কোতোয়ালি এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। Logo মুন্সীগঞ্জ জেলার টংগীবাড়ী এলাকা হতে ২৩.৫ কেজি গাঁজাসহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ Logo গ্রাম পুলিশ সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ইউপি চেয়ারম্যান ও সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা Logo আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস রিপোর্টার্স ফোরামের শ্রদ্ধা

একুশে ফেব্রুয়ারিতে রাজধানীতে চার স্তরের নিরাপত্তা

আলোর জগত ডেস্ক :   একুশে ফেব্রুয়ারীতে রাজধানীতে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর শহীদ মিনারে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে ৬ হাজার পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে কোনও সুনির্দিষ্ট হুমকি নেই। তবে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থাই নেওয়া হয়েছে। ওই দিন শহীদ মিনার ও আশপাশের এলাকায় চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।

তিনি জানান, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ ঢাকা মহানগরীর অন্যান্য শহীদ মিনারগুলোতেও সুদৃঢ়, নিরবিচ্ছিন্ন ও নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা বলবৎ থাকবে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সিসিটিভির আওতায় থাকবে।

শহীদ মিনারের প্রবেশ পথে থাকবে আর্চওয়ে। আগতদের প্রত্যেককে মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে তল্লাশি চৌকি পেরিয়ে প্রবেশ করতে হবে। যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকবে ডিবি, সোয়াট, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ক্রাইম সিন ভ্যান। পুরো এলাকা ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে সুইপিং করা হবে।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার কেন্দ্রীক ৬ হাজার পুলিশ মোতায়েন থাকবে। এর বাইরে ঢাকা মহানগরীজুড়ে দায়িত্ব পালন করবে ১০ হাজার পুলিশ সদস্য। পোশাকধারী পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, শহীদ মিনারের আশেপাশের এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে আগতদের তল্লাশি করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় ভাসমান দোকান, হকার উচ্ছেদ করা হবে।

২০ তারিখ সন্ধ্যা থেকে পরদিন সারাদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছাড়া বহিরাগত কেউ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশ করতে পারবেনা। এছাড়া স্টিকার ছাড়া কোন যানবাহনকে এ এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবেনা।

রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী, বিদেশি কুটনৈতিক ও ভিআইপিদের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাধারনদের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। তবে সাধারণ নাগরিকদের সবাইকে পলাশী হয়ে শহীদ মিনারের প্রবেশ করতে হবে। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দোয়েল চত্ত্বর ও চানখাঁরপুল হয়ে বেরিয়ে যাবেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

একুশে ফেব্রুয়ারিতে রাজধানীতে চার স্তরের নিরাপত্তা

আপডেট টাইম : ১০:৪৩:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

আলোর জগত ডেস্ক :   একুশে ফেব্রুয়ারীতে রাজধানীতে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর শহীদ মিনারে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে ৬ হাজার পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে কোনও সুনির্দিষ্ট হুমকি নেই। তবে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থাই নেওয়া হয়েছে। ওই দিন শহীদ মিনার ও আশপাশের এলাকায় চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।

তিনি জানান, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ ঢাকা মহানগরীর অন্যান্য শহীদ মিনারগুলোতেও সুদৃঢ়, নিরবিচ্ছিন্ন ও নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা বলবৎ থাকবে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সিসিটিভির আওতায় থাকবে।

শহীদ মিনারের প্রবেশ পথে থাকবে আর্চওয়ে। আগতদের প্রত্যেককে মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে তল্লাশি চৌকি পেরিয়ে প্রবেশ করতে হবে। যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকবে ডিবি, সোয়াট, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ক্রাইম সিন ভ্যান। পুরো এলাকা ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে সুইপিং করা হবে।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার কেন্দ্রীক ৬ হাজার পুলিশ মোতায়েন থাকবে। এর বাইরে ঢাকা মহানগরীজুড়ে দায়িত্ব পালন করবে ১০ হাজার পুলিশ সদস্য। পোশাকধারী পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, শহীদ মিনারের আশেপাশের এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে আগতদের তল্লাশি করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় ভাসমান দোকান, হকার উচ্ছেদ করা হবে।

২০ তারিখ সন্ধ্যা থেকে পরদিন সারাদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছাড়া বহিরাগত কেউ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশ করতে পারবেনা। এছাড়া স্টিকার ছাড়া কোন যানবাহনকে এ এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবেনা।

রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী, বিদেশি কুটনৈতিক ও ভিআইপিদের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাধারনদের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। তবে সাধারণ নাগরিকদের সবাইকে পলাশী হয়ে শহীদ মিনারের প্রবেশ করতে হবে। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দোয়েল চত্ত্বর ও চানখাঁরপুল হয়ে বেরিয়ে যাবেন।