নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি সিরিজ খেলতে বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ক্রাইস্টচার্চে পৌঁছায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। করোনাভাইরাসের কারণে সেখানে পৌঁছেই কঠোর কোয়ারেন্টিনে প্রবেশ করতে হয় টাইগারদের। তবে এরই মধ্যে বড় এক দুঃসংবাদ তৈরি হয়েছে সিরিজ নিয়ে।
দেশটির অন্যতম বড় শহর অকল্যান্ডে করোনা পরিস্থিতি ভালো নয়। যে কারণে দেশটির সরকার অকল্যান্ডে লেভেল-৩ করোনা লকডাউন জারি করেছে। শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ক্রিকেটভিত্তিক সাইট ক্রিকইনফো এ তথ্য জানিয়েছে।
করোনা প্রতিরোধে নিউজিল্যান্ডের নেয়া কয়েকস্তরের প্রটোকলের মধ্যে লেভেল-৩ হচ্ছে সর্বোচ্চ। সেটাই প্রয়োগ করা হয়েছে অকল্যান্ডের ওপর। আগামী এক সপ্তাহ পুরোপুরি লকডাউনের আওতায় থাকবে অকল্যান্ড।
মাউন্ট মঙ্গানুইতেও একই অবস্থা। যদিও অকল্যান্ডছাড়া বাকি শহরগুলোতে লেভেল-২ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। করোনার নতুন সংক্রমণের এই খবর খোদ জাতির সামনে প্রকাশ করেছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরদান।
অকল্যান্ডে খেলা ছিলো নিউজিল্যান্ডে সফররত ইংল্যান্ড নারী ক্রিকেট দল এবং অস্ট্রেলিয়া পুরুষ দলের। লকডাউনের কারণে এরই মধ্যে এই দু’টি ম্যাচ সরিয়ে আনা হয়েছে ওয়েলিংটনে। শুধু তাই নয়, অস্ট্রেলিয়া পুরুষ দল এবং ইংল্যান্ড নারী দলের সঙ্গে সিরিজের বাকি সব ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে ক্লোজ ডোর তথা দর্শকছাড়া স্টেডিয়ামে।
২০ মার্চ থেকে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশের ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। এই অকল্যান্ডেই ১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচের। তবে যেহেতু অকল্যান্ডের এই লকডাউন এক সপ্তাহের জন্য, সে কারণে আপাতত বাংলাদেশ সিরিজ নিয়ে নিউজিল্যান্ডে আলাপ নেই। তবে, লকডাউন দীর্ঘায়িত হলে কিংবা অন্য শহরগুলোতে লেভেল-৩’র লকডাউন ঘোষণা হলে সিরিজ কিছুটা হলে শঙ্কায় পড়বে বৈকি।
পরের দুই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ২৩ ও ২৬ মার্চ। ২৮, ৩০ মার্চ ও ১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।