ঢাকা ১০:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম :

ঐক্যফ্রন্টের ‘নির্বাচনকালীন সরকারের’ প্রস্তাব নাকচ

ফাইল ছবি

আলোর জগত ডেস্ক :   আওয়ামী লীগ ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দ্বিতীয় দফা সংলাপেও দুই পক্ষ বিরোধ মিটিয়ে একমত হতে পারেনি। সংলাপে ঐক্যফ্রন্ট নেতারা সংসদ ভেঙে দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলে ১০ জন উপদেষ্টাকে নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের প্রস্তাব দেন। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সরাসরি নাকচ করে দিয়েছে। বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে। তবে ঐক্যফ্রন্ট সংসদ ভেঙে দিয়ে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তাব দেয়।

ওবায়দুল কাদের জানান, এই প্রস্তাব তারা নাকচ করেছেন। বলেছেন, ‘উই উইল নট গো বিয়ন্ড কনস্টিটিউশন।’
ঐক্যফ্রন্টের প্রস্তাবকে নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার কৌশল হিসেবে দেখছেন কাদের। বলেন, এতে সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি হবে আর এ সুযোগে তৃতীয় পক্ষ  ঢুকে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংলাপ বুধবার বেলা ১১টার পর শুরু হয়ে দুপুর ২টা ১০ মিনিটে এ সংলাপ শেষ হয়।

ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের মধ্যে ছিলেন ড. কামাল হোসেন, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফা মোহসীন মন্টু, গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, নাগরিক ঐক্যের নেতা এস এম আকরাম, জেএসডি সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন ও ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ।

অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দলের প্রতিনিধিদলে ছিলেন— আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদের, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, মোহাম্মদ নাসিম, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, ডা. দীপু মনি, অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে চিকিৎসার চেক হস্তান্ত, সাবেক এম পি নুরুল আমিন রুহুল

ঐক্যফ্রন্টের ‘নির্বাচনকালীন সরকারের’ প্রস্তাব নাকচ

আপডেট টাইম : ০৯:৩৫:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ নভেম্বর ২০১৮

আলোর জগত ডেস্ক :   আওয়ামী লীগ ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দ্বিতীয় দফা সংলাপেও দুই পক্ষ বিরোধ মিটিয়ে একমত হতে পারেনি। সংলাপে ঐক্যফ্রন্ট নেতারা সংসদ ভেঙে দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলে ১০ জন উপদেষ্টাকে নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের প্রস্তাব দেন। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সরাসরি নাকচ করে দিয়েছে। বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে। তবে ঐক্যফ্রন্ট সংসদ ভেঙে দিয়ে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তাব দেয়।

ওবায়দুল কাদের জানান, এই প্রস্তাব তারা নাকচ করেছেন। বলেছেন, ‘উই উইল নট গো বিয়ন্ড কনস্টিটিউশন।’
ঐক্যফ্রন্টের প্রস্তাবকে নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার কৌশল হিসেবে দেখছেন কাদের। বলেন, এতে সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি হবে আর এ সুযোগে তৃতীয় পক্ষ  ঢুকে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংলাপ বুধবার বেলা ১১টার পর শুরু হয়ে দুপুর ২টা ১০ মিনিটে এ সংলাপ শেষ হয়।

ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের মধ্যে ছিলেন ড. কামাল হোসেন, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফা মোহসীন মন্টু, গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, নাগরিক ঐক্যের নেতা এস এম আকরাম, জেএসডি সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন ও ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ।

অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দলের প্রতিনিধিদলে ছিলেন— আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদের, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, মোহাম্মদ নাসিম, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, ডা. দীপু মনি, অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।