ঢাকা ০২:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪

রিফাত শরীফ হত্যায় টিকটক হৃদয়সহ গ্রেফতার ২

আলোর জগত ডেস্কঃ  বরগুনায় স্ত্রীর সামনে স্বামী রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আরো পড়ুন : বরগুনার ঘটনায় গাফিলতি থাকলে পুলিশও শাস্তি পাবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বরগুনার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন। তবে তদন্তের স্বার্থে কখন কোথা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা বলতে রাজি হননি পুলিশ সুপার। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান তিনি। গ্রেপ্তাররা হলেন- মামলার ১১ নম্বর আসামি অলি (২২) ও ১২ নম্বর আসামি টিকটক হৃদয় (২১)। এ নিয়ে মামলার এজাহারভুক্ত চারজন এবং সন্দেহভাজন হিসেবে চারজনকে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ।

রিফাত শরীফকে হত্যার পরদিন ১২ জন আসামির নাম উল্লেখ করে মামলা করেন তার বাবা মো. আ. হালিম দুলাল শরীফ। মামলায় পাঁচজনকে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

এ মামলার প্রধান আসামি সাব্বির আহমেদ নয়ন (২৫)। বাকি আসামিরা হলেন- মো. রিফাত ফরাজী (২৩), মো. রিশান ফরাজী (২০), চন্দন (২১), মো. মুসা, মো. রাব্বি আকন (১৯), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রায়হান (১৯), মো. হাসান (১৯), রিফাত (২০), অলি (২২) ও টিকটক হৃদয় (২১)।

এরই মধ্যে মামলার ৪ নম্বর আসামি চন্দন, ৯ নম্বর আসামি মো. হাসান, ১১ নম্বর আসামি অলি ও ১২ নম্বর আসামি টিকটক হৃদয়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এছাড়া রিফাত হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তানভীর, নাজমুল হাসান, মো. সাগর ও কামরুর হাসান সাইমুনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গত বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে শত শত লোকের উপস্থিতিতে স্ত্রীর সামনে শাহ নেয়াজ রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত রিফাত শরীফের বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলার ৬নং বুড়িরচর ইউনিয়নের বড় লবণগোলা গ্রামে। তার বাবার নাম আ. হালিম দুলাল শরীফ। মা-বাবার একমাত্র সন্তান ছিলেন রিফাত।

ওই দিন সকাল ১০টার দিকে নয়নের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা রিফাতকে দা দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় ফেলে যায়। এ সময় বারবার সন্ত্রাসীদের হাত থেকে স্বামীকে বাঁচাতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি।

একপর্যায়ে গুরুতর অবস্থায় রিফাতকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রিফাত মারা যান।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

গ্রাম পুলিশ সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ইউপি চেয়ারম্যান ও সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা

রিফাত শরীফ হত্যায় টিকটক হৃদয়সহ গ্রেফতার ২

আপডেট টাইম : ০১:০৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০১৯

আলোর জগত ডেস্কঃ  বরগুনায় স্ত্রীর সামনে স্বামী রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আরো পড়ুন : বরগুনার ঘটনায় গাফিলতি থাকলে পুলিশও শাস্তি পাবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বরগুনার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন। তবে তদন্তের স্বার্থে কখন কোথা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা বলতে রাজি হননি পুলিশ সুপার। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান তিনি। গ্রেপ্তাররা হলেন- মামলার ১১ নম্বর আসামি অলি (২২) ও ১২ নম্বর আসামি টিকটক হৃদয় (২১)। এ নিয়ে মামলার এজাহারভুক্ত চারজন এবং সন্দেহভাজন হিসেবে চারজনকে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ।

রিফাত শরীফকে হত্যার পরদিন ১২ জন আসামির নাম উল্লেখ করে মামলা করেন তার বাবা মো. আ. হালিম দুলাল শরীফ। মামলায় পাঁচজনকে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

এ মামলার প্রধান আসামি সাব্বির আহমেদ নয়ন (২৫)। বাকি আসামিরা হলেন- মো. রিফাত ফরাজী (২৩), মো. রিশান ফরাজী (২০), চন্দন (২১), মো. মুসা, মো. রাব্বি আকন (১৯), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রায়হান (১৯), মো. হাসান (১৯), রিফাত (২০), অলি (২২) ও টিকটক হৃদয় (২১)।

এরই মধ্যে মামলার ৪ নম্বর আসামি চন্দন, ৯ নম্বর আসামি মো. হাসান, ১১ নম্বর আসামি অলি ও ১২ নম্বর আসামি টিকটক হৃদয়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এছাড়া রিফাত হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তানভীর, নাজমুল হাসান, মো. সাগর ও কামরুর হাসান সাইমুনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গত বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে শত শত লোকের উপস্থিতিতে স্ত্রীর সামনে শাহ নেয়াজ রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত রিফাত শরীফের বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলার ৬নং বুড়িরচর ইউনিয়নের বড় লবণগোলা গ্রামে। তার বাবার নাম আ. হালিম দুলাল শরীফ। মা-বাবার একমাত্র সন্তান ছিলেন রিফাত।

ওই দিন সকাল ১০টার দিকে নয়নের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা রিফাতকে দা দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় ফেলে যায়। এ সময় বারবার সন্ত্রাসীদের হাত থেকে স্বামীকে বাঁচাতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি।

একপর্যায়ে গুরুতর অবস্থায় রিফাতকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রিফাত মারা যান।