ঢাকা ০৪:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

পাপিয়া দম্পতির অস্ত্র মামলায় রায় ১২ অক্টোবর

আলোর জগত ডেস্ক: অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলায় যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমানের রায়ের দিন আগামী ১২ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত।  রবিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে আসামি পক্ষের অবশিষ্ট যুক্তি উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের এ দিন ধার্য করেন।

ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু বলেন, মামলার সাক্ষ্য-প্রমাণে আসামিদের বিরুদ্ধে আমরা অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। আশা করছি, রায়ে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে।

আসামি পক্ষের আইনজীবী বলছেন, তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়নি। রায়ে তারা খালাস পাবে। এ মামলায় ১২ সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনই আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

গত ২২ ফেব্রুয়ারি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দেশত্যাগের সময় পাপিয়াসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। গ্রেপ্তারকৃত অন্যরা হলেন- পাপিয়ার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমন (৩৮), সাব্বির খন্দকার (২৯) ও শেখ তায়্যিবা (২২)। তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, নগদ দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ টাকার জাল মুদ্রা, ১১ হাজার ৯১ ইউএস ডলারসহ বিভিন্ন দেশের মুদ্রা জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তারের পর ওইদিন রাতেই নরসিংদীর বাসায় এবং ২৩ ফেব্রুয়ারি ভোরে হোটেল ওয়েস্টিনে তাদের নামে বুকিং করা বিলাসবহুল প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুটে অভিযান চালানো হয়।

এছাড়া ফার্মগেট এলাকার ২৮ নম্বর ইন্দিরা রোডে অবস্থিত রওশন ‘স ডমিনো রিলিভো নামক বিলাসবহুল ভবনে তাদের ২টি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে ১টি বিদেশি পিস্তল,  পিস্তলের ২টি ম্যাগজিন, পিস্তলের ২০ রাউন্ড  গুলি, ৫ বোতল বিদেশি মদ ও নগদ ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, ৫টি পাসপোর্ট, ৩টি চেক, বিদেশি মুদ্রা, বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি ভিসা ও এটিএম কার্ড জব্দ করে র‍্যাব।

ওই ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় অস্ত্র আইনে একটি, বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি এবং বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে আরেকটি মামলাসহ মোট ৩টি মামলা দায়ের করা হয়।

গত ২৯ জুন ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‍্যাবের উপ-পরিদর্শক আরিফুজ্জামান আদালতে তাদের বিরুদ্ধে এ চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে সাক্ষী করা হয়েছে ১২ জনকে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

গ্রাম পুলিশ সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ইউপি চেয়ারম্যান ও সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা

পাপিয়া দম্পতির অস্ত্র মামলায় রায় ১২ অক্টোবর

আপডেট টাইম : ০৮:১১:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

আলোর জগত ডেস্ক: অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলায় যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমানের রায়ের দিন আগামী ১২ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত।  রবিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে আসামি পক্ষের অবশিষ্ট যুক্তি উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের এ দিন ধার্য করেন।

ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু বলেন, মামলার সাক্ষ্য-প্রমাণে আসামিদের বিরুদ্ধে আমরা অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। আশা করছি, রায়ে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে।

আসামি পক্ষের আইনজীবী বলছেন, তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়নি। রায়ে তারা খালাস পাবে। এ মামলায় ১২ সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনই আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

গত ২২ ফেব্রুয়ারি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দেশত্যাগের সময় পাপিয়াসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। গ্রেপ্তারকৃত অন্যরা হলেন- পাপিয়ার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমন (৩৮), সাব্বির খন্দকার (২৯) ও শেখ তায়্যিবা (২২)। তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, নগদ দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ টাকার জাল মুদ্রা, ১১ হাজার ৯১ ইউএস ডলারসহ বিভিন্ন দেশের মুদ্রা জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তারের পর ওইদিন রাতেই নরসিংদীর বাসায় এবং ২৩ ফেব্রুয়ারি ভোরে হোটেল ওয়েস্টিনে তাদের নামে বুকিং করা বিলাসবহুল প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুটে অভিযান চালানো হয়।

এছাড়া ফার্মগেট এলাকার ২৮ নম্বর ইন্দিরা রোডে অবস্থিত রওশন ‘স ডমিনো রিলিভো নামক বিলাসবহুল ভবনে তাদের ২টি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে ১টি বিদেশি পিস্তল,  পিস্তলের ২টি ম্যাগজিন, পিস্তলের ২০ রাউন্ড  গুলি, ৫ বোতল বিদেশি মদ ও নগদ ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, ৫টি পাসপোর্ট, ৩টি চেক, বিদেশি মুদ্রা, বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি ভিসা ও এটিএম কার্ড জব্দ করে র‍্যাব।

ওই ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় অস্ত্র আইনে একটি, বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি এবং বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে আরেকটি মামলাসহ মোট ৩টি মামলা দায়ের করা হয়।

গত ২৯ জুন ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‍্যাবের উপ-পরিদর্শক আরিফুজ্জামান আদালতে তাদের বিরুদ্ধে এ চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে সাক্ষী করা হয়েছে ১২ জনকে।