ঢাকা ০৪:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪

ভয়ংকর রূপ নিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার আগ্নেয়গিরি মাউন্ট সিনাবাং

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভয়ংকরভাবে জেগে উঠেছে ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট সিনাবাং আগ্নেয়গিরি। ধোঁয়ায় অন্ধকার হয়েছে আশেপাশের পুরো আলাকা। আকাশে প্রায় ৫ কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত উঠে যায় ধোঁয়া। চারপাশে ধ্বংসস্তূপের মতো ছড়িয়ে পড়ে ছাই। এতে স্থানীয় মানুষের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল থেকে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। খবর এই সময়ের।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুমাত্রা দ্বীপের এই আগ্নেয়গিরি ২০১০ সাল থেকে জেগে ওঠে। তবে মাউন্ট সিনাবাং সবচেয়ে ভয়ংকর রূপ প্রত্যক্ষ করা গেছে ২০১৬ সালে। আবার সম্প্রতি সেই রূপের দেখা মিলছে। গত সপ্তাহেও দু’বার ছোট দুটো অগ্ন্যুত্‍‌পাতের ঘটনা ঘটে। আর সোমবার থেকে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করে।আগ্নেয়গিরি জেগে ওঠায় এখনও পর্যন্ত কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। তবে কর্তৃপক্ষ স্থানীয়দের সতর্ক করে বলেছে, আরও অগ্ন্যুত্‍‌পাতের আশঙ্কা রয়েছে। এমনকি নেমে আসতে পারে লাভাস্রোতও।

ইন্দোনেশিয়ার ভলক্যানোলজি অ্যান্ড জিওগ্রাফিক্যাল হ্যাজার্ড মিটিগেশন সেন্টারের কর্মকর্তা আরমেন পুতেরা জানিয়েছেন, ‘সবার জন্য সতর্কবার্তা জারি করা হচ্ছে। সিনাবাং-এর কাছে রেড জোন এলাকা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’

আগ্নেয়গিরির কাছে আগেই নো-গো জোন ঘোষণা করা হয়েছিল। সেখানে এখন কেউ বসবাস করে না। তবে কাছেই বসবাসকারী ছোট উপজাতি সম্প্রদায়ের গ্রামে সোমবারের অগ্ন্যুত্‍‌পাতের জেরে ছাইয়ের মোটা আস্তরণে ঢেকে গেছে।

নামানতেরান গ্রামের প্রধান রেনকানা সিতেপু জানিয়েছেন, ‘ব্যাপারটা ম্যাজিকের মতো হলো। ছাইগুলো যখন ভেসে এলো, মুহূর্তের মধ্যে যেন রাত নেমে এলো গোটা এলাকায়। প্রায় ২০ মিনিট সম্পূর্ণ অন্ধকার ছিল গোটা গ্রাম।’ এর ফলে বেশ কিছু ফসলও নষ্ট হয়েছে বলে তিনি জানান।

করোনাভাইরাসের আবহে এই নতুন সংকট এসে পড়ায় আরও সমস্যায় স্থানীয়রা। আতঙ্কে অনেকেই কোভিড নিয়ম ভাঙতে শুরু করেছেন। স্থানীয় বিপর্যয় মোকাবিলা সংস্থার প্রধান নাতানেল পেরাঙ্গিন-আনজিন জানিয়েছেন, ‘অগ্ন্যুত্‍‌পাতের পর স্থানীয়রা আতঙ্কের চোটে মাস্ক ছাড়াই জটলা সৃষ্টি করছেন। কোনো নিয়ম মানছেন না।’

৪০০ বছরে প্রথমবার ২০১০ সালে জেগে ওঠে সিনাবাং আগ্নেয়গিরি। এরপর ২০১৩ সালে আবার। তারপর থেকেই এটি বেশ সক্রিয়। ২০১৬ সালে অগ্ন্যুত্‍‌পাতের কারণে সাতজন মারা যান।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

গ্রাম পুলিশ সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ইউপি চেয়ারম্যান ও সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা

ভয়ংকর রূপ নিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার আগ্নেয়গিরি মাউন্ট সিনাবাং

আপডেট টাইম : ০৭:৩৭:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ অগাস্ট ২০২০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভয়ংকরভাবে জেগে উঠেছে ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট সিনাবাং আগ্নেয়গিরি। ধোঁয়ায় অন্ধকার হয়েছে আশেপাশের পুরো আলাকা। আকাশে প্রায় ৫ কিলোমিটার উচ্চতা পর্যন্ত উঠে যায় ধোঁয়া। চারপাশে ধ্বংসস্তূপের মতো ছড়িয়ে পড়ে ছাই। এতে স্থানীয় মানুষের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল থেকে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। খবর এই সময়ের।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুমাত্রা দ্বীপের এই আগ্নেয়গিরি ২০১০ সাল থেকে জেগে ওঠে। তবে মাউন্ট সিনাবাং সবচেয়ে ভয়ংকর রূপ প্রত্যক্ষ করা গেছে ২০১৬ সালে। আবার সম্প্রতি সেই রূপের দেখা মিলছে। গত সপ্তাহেও দু’বার ছোট দুটো অগ্ন্যুত্‍‌পাতের ঘটনা ঘটে। আর সোমবার থেকে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করে।আগ্নেয়গিরি জেগে ওঠায় এখনও পর্যন্ত কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। তবে কর্তৃপক্ষ স্থানীয়দের সতর্ক করে বলেছে, আরও অগ্ন্যুত্‍‌পাতের আশঙ্কা রয়েছে। এমনকি নেমে আসতে পারে লাভাস্রোতও।

ইন্দোনেশিয়ার ভলক্যানোলজি অ্যান্ড জিওগ্রাফিক্যাল হ্যাজার্ড মিটিগেশন সেন্টারের কর্মকর্তা আরমেন পুতেরা জানিয়েছেন, ‘সবার জন্য সতর্কবার্তা জারি করা হচ্ছে। সিনাবাং-এর কাছে রেড জোন এলাকা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’

আগ্নেয়গিরির কাছে আগেই নো-গো জোন ঘোষণা করা হয়েছিল। সেখানে এখন কেউ বসবাস করে না। তবে কাছেই বসবাসকারী ছোট উপজাতি সম্প্রদায়ের গ্রামে সোমবারের অগ্ন্যুত্‍‌পাতের জেরে ছাইয়ের মোটা আস্তরণে ঢেকে গেছে।

নামানতেরান গ্রামের প্রধান রেনকানা সিতেপু জানিয়েছেন, ‘ব্যাপারটা ম্যাজিকের মতো হলো। ছাইগুলো যখন ভেসে এলো, মুহূর্তের মধ্যে যেন রাত নেমে এলো গোটা এলাকায়। প্রায় ২০ মিনিট সম্পূর্ণ অন্ধকার ছিল গোটা গ্রাম।’ এর ফলে বেশ কিছু ফসলও নষ্ট হয়েছে বলে তিনি জানান।

করোনাভাইরাসের আবহে এই নতুন সংকট এসে পড়ায় আরও সমস্যায় স্থানীয়রা। আতঙ্কে অনেকেই কোভিড নিয়ম ভাঙতে শুরু করেছেন। স্থানীয় বিপর্যয় মোকাবিলা সংস্থার প্রধান নাতানেল পেরাঙ্গিন-আনজিন জানিয়েছেন, ‘অগ্ন্যুত্‍‌পাতের পর স্থানীয়রা আতঙ্কের চোটে মাস্ক ছাড়াই জটলা সৃষ্টি করছেন। কোনো নিয়ম মানছেন না।’

৪০০ বছরে প্রথমবার ২০১০ সালে জেগে ওঠে সিনাবাং আগ্নেয়গিরি। এরপর ২০১৩ সালে আবার। তারপর থেকেই এটি বেশ সক্রিয়। ২০১৬ সালে অগ্ন্যুত্‍‌পাতের কারণে সাতজন মারা যান।