ঢাকা ০৮:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

সিনহা হত্যা: মামলার তদন্তে র‌্যাব

আলোর জগত ডেস্ক:কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে নিহত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানের সাথে থাকা গ্রেফতার হওয়া শিক্ষার্থী শাহেদুল ইসলাম সিফাতের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। একই সঙ্গে সিফাতের মামলাটি বিবাদী পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত তদন্তের ভার র‌্যাবকে দিয়েছেন। সোমবার বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহ তার জামিন মঞ্জুর করেন।

শুনানি শেষে সিফাতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মোস্তফা ও মাহবুবুল আলম টিপু যৌথ প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, ‘সিফাতের বিরুদ্ধে পুলিশের দায়ের করা ২টি  মামলায় জামিন আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে ৫ হাজার টাকা বন্ডে সিফাতের জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক। একই সাথে মামলার তদন্তভার র্যাবকে দেয়া হয়েছে।’

এর আগে রোববার রামু থানায় দায়ের করা অপর একটি মামলায় স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ছাত্রী শিপ্রা দেব নাথ জামিনের পর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন।

গত ৩১ জুলাই (শুক্রবার) রাতে টেকনাফ বাহারছড়া চেকপোস্টে তল্লাশির সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।

এরপর গত ৩ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ ঘটনার তদন্তে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে প্রধান করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত দল গঠন করা হয়।

গত বুধবার (৫ আগস্ট) নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে কক্সবাজারের টেকনাফ  জুডিসিয়িাল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে পরিদর্শক লিয়াকত আলিকে প্রধান ও  ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওইদিন রাতেই টেকনাফ থানায় মামলাটি নথিভুক্ত হয়েছে।

পরদিন বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ ও পরিদর্শক লিয়াকতসহ মামলার ৭ জন আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এতে র‌্যাব আদালতে প্রত্যেক আসামির বিরুদ্ধে ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করলে বিচারক ইন্সপেক্টর লিয়াকত, ওসি প্রদীপ এবং এসআই দুলাল রক্ষিতকে ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।পাশাপাশি ৪ আসামিকে ২ দিন করে জেল গেইটে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নির্দেশ দেন।

এছাড়া অনুপস্থিত থাকা বাকি ২ আসামিকে পলাতক দেখিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। তবে জেলা পুলিশের দাবি, মামলায় পলাতক থাকা এএসআই টুটুল ও কনস্টেবল মোস্তফা নামের কোন পুলিশ সদস্য বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্র ও টেকনাফ থানায় কর্মরত ছিল না।

এর মধ্যে শনিবার (৮ আগস্ট) দুপুর ২টার পর থেকে কক্সবাজার জেলা কারাগারের ফটকে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে। রোববার দ্বিতীয় দিনের মতো তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

এছাড়া ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া ৩ আসামি টেকনাফ বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত হওয়া ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী এবং টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও এসআই নন্দলাল রক্ষিতকে গতকাল র‌্যাবের হেফাজতে নেয়ার কথা থাকলেও কাগজ পত্র প্রস্তুত না থাকায় এখনও তাদের জিঙ্গাসাবাদ শুরু হয়নি বলে জানা গেছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

গ্রাম পুলিশ সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ইউপি চেয়ারম্যান ও সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা

সিনহা হত্যা: মামলার তদন্তে র‌্যাব

আপডেট টাইম : ০১:১২:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ অগাস্ট ২০২০

আলোর জগত ডেস্ক:কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে নিহত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানের সাথে থাকা গ্রেফতার হওয়া শিক্ষার্থী শাহেদুল ইসলাম সিফাতের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। একই সঙ্গে সিফাতের মামলাটি বিবাদী পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত তদন্তের ভার র‌্যাবকে দিয়েছেন। সোমবার বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহ তার জামিন মঞ্জুর করেন।

শুনানি শেষে সিফাতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মোস্তফা ও মাহবুবুল আলম টিপু যৌথ প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, ‘সিফাতের বিরুদ্ধে পুলিশের দায়ের করা ২টি  মামলায় জামিন আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে ৫ হাজার টাকা বন্ডে সিফাতের জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক। একই সাথে মামলার তদন্তভার র্যাবকে দেয়া হয়েছে।’

এর আগে রোববার রামু থানায় দায়ের করা অপর একটি মামলায় স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ছাত্রী শিপ্রা দেব নাথ জামিনের পর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন।

গত ৩১ জুলাই (শুক্রবার) রাতে টেকনাফ বাহারছড়া চেকপোস্টে তল্লাশির সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।

এরপর গত ৩ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ ঘটনার তদন্তে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে প্রধান করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত দল গঠন করা হয়।

গত বুধবার (৫ আগস্ট) নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে কক্সবাজারের টেকনাফ  জুডিসিয়িাল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে পরিদর্শক লিয়াকত আলিকে প্রধান ও  ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওইদিন রাতেই টেকনাফ থানায় মামলাটি নথিভুক্ত হয়েছে।

পরদিন বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ ও পরিদর্শক লিয়াকতসহ মামলার ৭ জন আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এতে র‌্যাব আদালতে প্রত্যেক আসামির বিরুদ্ধে ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করলে বিচারক ইন্সপেক্টর লিয়াকত, ওসি প্রদীপ এবং এসআই দুলাল রক্ষিতকে ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।পাশাপাশি ৪ আসামিকে ২ দিন করে জেল গেইটে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নির্দেশ দেন।

এছাড়া অনুপস্থিত থাকা বাকি ২ আসামিকে পলাতক দেখিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। তবে জেলা পুলিশের দাবি, মামলায় পলাতক থাকা এএসআই টুটুল ও কনস্টেবল মোস্তফা নামের কোন পুলিশ সদস্য বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্র ও টেকনাফ থানায় কর্মরত ছিল না।

এর মধ্যে শনিবার (৮ আগস্ট) দুপুর ২টার পর থেকে কক্সবাজার জেলা কারাগারের ফটকে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে। রোববার দ্বিতীয় দিনের মতো তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

এছাড়া ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া ৩ আসামি টেকনাফ বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত হওয়া ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী এবং টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও এসআই নন্দলাল রক্ষিতকে গতকাল র‌্যাবের হেফাজতে নেয়ার কথা থাকলেও কাগজ পত্র প্রস্তুত না থাকায় এখনও তাদের জিঙ্গাসাবাদ শুরু হয়নি বলে জানা গেছে।