ঢাকা ০২:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪

সমালোচনার মুখে ইমরান খানের দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা জাফর মির্জা এবং তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ উপদেষ্টা তানিয়া এদ্রুস পদত্যাগ করেছেন। ইমরান খান তাদের দু’জনের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন।

জাফর মির্জা করোনা ভাইরাসের এ সময়ে দারুণ কাজ করছিলেন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে ওষুধের দাম বাড়ায় তিনি নানামুখী সমালোচনার শিকার হন।

পদত্যাগের বিষয়ে টুইটারে সাবেক এ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তা লিখেছেন— প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপদেষ্টা ও সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে চলমান নেতিবাচক সমালোচনার মুখে আমি পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি সততার সঙ্গে কঠোর পরিশ্রম করেছি। পাকিস্তানকে সেবা করতে পারাটা আমার জন্য ছিল অগ্রাধিকার। আমি সন্তুষ্ট যে এমন এক সময়ে পদত্যাগ করছি যখন পাকিস্তানে করোনা ভাইরাস কমতে শুরু করেছে। আর সেটা সম্ভব হয়েছে সমন্বিত জাতীয় প্রচেষ্টার ফলে।

এদিকে তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপদেষ্টা তানিয়া এদ্রুস কানাডারও নাগরিক। তার এই দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়ে সম্প্রতি বেশ সমালোচনা হচ্ছিল।

পদত্যাগের বিষয়ে তিনি লিখেছেন— ডিজিটাল পাকিস্তান গড়ার যে উদ্দেশ্য সেটাকে কালো মেঘের ছাঁয়ায় ঢেকে দিয়েছে আমার দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়ে করা সমালোচনা। সুতরাং বৃহত্তর জনস্বার্থে আমি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপদেষ্টার পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। আমি আমার দেশ ও প্রধানমন্ত্রীর জন্য কাজ করে যাবো।

উল্লেখ্য, চলতি মাসের শুরুতে জানা যায় প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের অনির্বাচিত ১৭ উপদেষ্টার মধ্যে চার জনের দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে। অন্য দু’জনের রয়েছে বিদেশে স্থায়ী আবাসস্থল। আর এ বিষয়টি নিয়েই বিরোধী দলগুলো তীব্র সমালোচনা করছিল।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

গ্রাম পুলিশ সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ইউপি চেয়ারম্যান ও সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা

সমালোচনার মুখে ইমরান খানের দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ

আপডেট টাইম : ১০:৩০:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই ২০২০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা জাফর মির্জা এবং তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ উপদেষ্টা তানিয়া এদ্রুস পদত্যাগ করেছেন। ইমরান খান তাদের দু’জনের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন।

জাফর মির্জা করোনা ভাইরাসের এ সময়ে দারুণ কাজ করছিলেন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে ওষুধের দাম বাড়ায় তিনি নানামুখী সমালোচনার শিকার হন।

পদত্যাগের বিষয়ে টুইটারে সাবেক এ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তা লিখেছেন— প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপদেষ্টা ও সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে চলমান নেতিবাচক সমালোচনার মুখে আমি পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি সততার সঙ্গে কঠোর পরিশ্রম করেছি। পাকিস্তানকে সেবা করতে পারাটা আমার জন্য ছিল অগ্রাধিকার। আমি সন্তুষ্ট যে এমন এক সময়ে পদত্যাগ করছি যখন পাকিস্তানে করোনা ভাইরাস কমতে শুরু করেছে। আর সেটা সম্ভব হয়েছে সমন্বিত জাতীয় প্রচেষ্টার ফলে।

এদিকে তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপদেষ্টা তানিয়া এদ্রুস কানাডারও নাগরিক। তার এই দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়ে সম্প্রতি বেশ সমালোচনা হচ্ছিল।

পদত্যাগের বিষয়ে তিনি লিখেছেন— ডিজিটাল পাকিস্তান গড়ার যে উদ্দেশ্য সেটাকে কালো মেঘের ছাঁয়ায় ঢেকে দিয়েছে আমার দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়ে করা সমালোচনা। সুতরাং বৃহত্তর জনস্বার্থে আমি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপদেষ্টার পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। আমি আমার দেশ ও প্রধানমন্ত্রীর জন্য কাজ করে যাবো।

উল্লেখ্য, চলতি মাসের শুরুতে জানা যায় প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের অনির্বাচিত ১৭ উপদেষ্টার মধ্যে চার জনের দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে। অন্য দু’জনের রয়েছে বিদেশে স্থায়ী আবাসস্থল। আর এ বিষয়টি নিয়েই বিরোধী দলগুলো তীব্র সমালোচনা করছিল।