ঢাকা ০১:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪

শিশু সায়মা ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় হারুনের মৃত্যুদণ্ড

আলোর জগত ডেস্কঃ  রাজধানীর ওয়ারীতে সাত বছরের শিশু সামিয়া আফরিন সায়মাকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় একমাত্র আসামি হারুন অর রশিদের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। গতকাল সোমবার (৯ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক কাজী আব্দুল হান্নান আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

গত ৫ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের এ তারিখ ধার্য করেন আদালত। মোট ৫৮ দিনে এ মামলার বিচার কাজ শেষ করেন বিচারক।

মামলায় ১৭ জন সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ১৪ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন। চলতি বছরের ২ জানুয়ারি ঢাকার ১ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক কাজী আব্দুল হান্নান আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। অভিযোগ গঠনের ৬৬ দিনের মাথায় এই মামলার রায় ঘোষণা করা হলো।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৫ জুলাই (শুক্রবার) সন্ধার পর থেকে নিখোঁজ হন আব্দুস সালামের শিশু কন্যা নার্সারির ছাত্রী সামিয়া আফরিন সায়মা। পরে রাত পৌনে ৮টার দিকে ওয়ারীর বনগ্রাম মসজিদ এলাকার নির্মাণাধীন একটি ভবন থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পরদিন সায়মার বাবা ওয়ারি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

সায়মার বাবা আব্দুস সালাম নবাবপুরে ব্যবসা করেন। ওয়ারী থানার ১৩৯ বনগ্রামের বাড়ির ৬ তলায় নিজের ফ্ল্যাটে পরিবার নিয়ে থাকেন থাকতেন তিনি। দুই ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে সবার ছোট সায়মা।

আব্দুস সালাম সেসময় বলেন, ঘটনার দিন শুক্রবার মাগরিবের আজানের সময় আমি নামাজ পড়তে মসজিদে যাই। ফেরার সময় সন্ধ্যার নাশতা কিনে বাসায় আসি। এসে দেখি বাসায় সায়মা নেই। আমি ও আমার স্ত্রীসহ সায়মাকে খুঁজতে শুরু করি। ছয় তলা ও আট তলায় খুঁজে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে আবার আট তলায় খুঁজতে গিয়ে রান্নাঘরে তার লাশ পাওয়া যায়।

পরে পুলিশ মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠায়। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ জানান, মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয় এবং পরে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

গ্রাম পুলিশ সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ইউপি চেয়ারম্যান ও সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা

শিশু সায়মা ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় হারুনের মৃত্যুদণ্ড

আপডেট টাইম : ০১:০৯:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ মার্চ ২০২০

আলোর জগত ডেস্কঃ  রাজধানীর ওয়ারীতে সাত বছরের শিশু সামিয়া আফরিন সায়মাকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় একমাত্র আসামি হারুন অর রশিদের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। গতকাল সোমবার (৯ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক কাজী আব্দুল হান্নান আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

গত ৫ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের এ তারিখ ধার্য করেন আদালত। মোট ৫৮ দিনে এ মামলার বিচার কাজ শেষ করেন বিচারক।

মামলায় ১৭ জন সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ১৪ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন। চলতি বছরের ২ জানুয়ারি ঢাকার ১ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক কাজী আব্দুল হান্নান আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। অভিযোগ গঠনের ৬৬ দিনের মাথায় এই মামলার রায় ঘোষণা করা হলো।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৫ জুলাই (শুক্রবার) সন্ধার পর থেকে নিখোঁজ হন আব্দুস সালামের শিশু কন্যা নার্সারির ছাত্রী সামিয়া আফরিন সায়মা। পরে রাত পৌনে ৮টার দিকে ওয়ারীর বনগ্রাম মসজিদ এলাকার নির্মাণাধীন একটি ভবন থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পরদিন সায়মার বাবা ওয়ারি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

সায়মার বাবা আব্দুস সালাম নবাবপুরে ব্যবসা করেন। ওয়ারী থানার ১৩৯ বনগ্রামের বাড়ির ৬ তলায় নিজের ফ্ল্যাটে পরিবার নিয়ে থাকেন থাকতেন তিনি। দুই ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে সবার ছোট সায়মা।

আব্দুস সালাম সেসময় বলেন, ঘটনার দিন শুক্রবার মাগরিবের আজানের সময় আমি নামাজ পড়তে মসজিদে যাই। ফেরার সময় সন্ধ্যার নাশতা কিনে বাসায় আসি। এসে দেখি বাসায় সায়মা নেই। আমি ও আমার স্ত্রীসহ সায়মাকে খুঁজতে শুরু করি। ছয় তলা ও আট তলায় খুঁজে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে আবার আট তলায় খুঁজতে গিয়ে রান্নাঘরে তার লাশ পাওয়া যায়।

পরে পুলিশ মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠায়। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ জানান, মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয় এবং পরে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়।